May 18, 2024, 5:54 am

233533 bangladesh pratidin 4444

স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

Spread the love

কক্সবাজার শহরের সাহিত্যিকা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাকিলা মনছুরের মৃত্যুর ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুর রহমানকে প্রধান করে দুই সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. বেলাল হোছাইন এবং মো. হানিফ মিয়াকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।

এর আগে, ওই প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মানসিক নির্যাতনে শিক্ষিকা শাকিলা মনছুরের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ উঠে। সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুর রহমান বলেন, আসলে একজন শিক্ষকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। প্রথমে আমি মরহুমার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করার জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি নিজে ওই কমিটির প্রধান। বুধবার (২৪ আগস্ট) সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আকতারের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা অফিসার বলেন, তদন্তে প্রমাণিত হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শাকিলা মনছুরের স্বামী মাসুম চৌধুরী বলেন, ঘটনার দিন (সোমবার) সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্বামী -স্ত্রী দুই জনই ঘর থেকে বেরিয়ে যান। সকাল ১০ দিকে স্ত্রী আমাকে ফোনে জানান, স্কুলে হাজিরা দিয়ে ভোটার কার্যক্রমের শেষ দিনের কাজ বুঝিয়ে দিতে বাইরে যাওয়ার অনুমতি চায় প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তারের কাছ থেকে। সেলিনা তার আবেদন গ্রাহ্য না করে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দেন। শাকিলা তাঁর কথার প্রেক্ষিতে ভোটার ফরম জমা দেয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এমতাবস্থায় প্রধান শিক্ষক শাকিলাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকেন। ঘটনার এক পর্যায়ে শাকিলা টর্চার সইতে না পেরে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির ঘরে যান ঘটনার বিচার চাইতে। সভাপতির ঘরে ঢুকার আগে গেইটে মাটিতে পড়ে যান তিনি। সভাপতির স্ত্রী এসে শাকিলাকে ধরা ধরি করে ঘরে নিয়ে সেবা শশ্রুষা দেন। তখন শাকিলা জানান, প্রধান শিক্ষক তাকে খুব খারাপ ভাবে গালাগাল দিয়েছে, তার সহ্য করতে না পেরে স্কুল থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। কথা বলার এক পর্যায়ে শাকিলা আবারও জ্ঞান হারান। পরে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে কর্তব্যরত ডা. তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে কোন কিছু আশ্বস্ত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফোন করে  বলেছে বুধবার (২৪ আগস্ট) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন।

মৃতের ছোট বোন তানজিলা মনছুর মিলকী বলেন, আমার বোনের শাকিলা মনছুরের মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। শাকিলার মৃত্যু কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। আমার বোন মানসিক নির্যাতনের শিকার। আমার বোনের উপর অনৈতিক ও অমানবিক আচরন করা হয়েছে। যার ফলে সে মৃত্যুবরণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, ভোটার হালনাগাদ কাজে নিযুক্ত হওয়ার পর স্কুলে পূর্ণ ক্লাস করাতে পারছেনা বলে প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আকতার আমার বোনকে  মানসিকভাবে হয়রানি করে আসছিল। প্রধান শিক্ষিকা একই স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের সামনে অনেক বার আমার বোন শাকিলাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। নানা বাজে কথা বলছে।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category